রংপুরে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। হাসপাতালগুলোর করোনা ইউনিটে আর জায়গা নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছেন ৫৫২ জন।
বাড়তি রোগীর চাপে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩০ শয্যার আরও একটি ইউনিট করোনা রোগীদের জন্য ছেড়ে দেয়া হয়েছে।স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের দিনাজপুরে পাঁচ, ঠাকুরগাঁওয়ে চার, গাইবান্ধায় দুই এবং রংপুর, লালমনিরহাট ও পঞ্চগড়ে একজন করে মারা গেছেন।বিভাগে করোনা শনাক্তদের মধ্যে রংপুরে ৫৫ জন, পঞ্চগড়ে ৪২, নীলফামারীতে ১০, লালমনিরহাটে ১২, কুড়িগ্রামে ৩২, ঠাকুরগাঁওয়ে ৯৪, দিনাজপুরে ২৫৮ ও গাইবান্ধায় ২৯ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, বিভাগের আট জেলায় করোনা আক্রান্ত সবাই রংপুরমুখী। এ কারণে রংপুর মেডিক্যাল ও করোনা হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে।
শনিবার দুপুরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডকে ইউনিট ঘোষণা করা হয়েছে। আইসিইউ না থাকলেও সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহসহ অন্য সুবিধা রাখা হয়েছে এই ইউনিটে।রংপুরের সিভিল সার্জন হিড়ম্ব কুমার রায় বলেন, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ওয়ার্ডেও রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা ডিউটি করবেন।
গত বছরের ৯ মে রংপুর শিশু হাসপাতাল ১০০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে চালু করা হয়। সেখানে ১০টি আইসিইউ বেড রয়েছে। এর মধ্যে আট বেডে ভেন্টিলেটর আছে। রংপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এস এম নুর উন নবী জানান, এ হাসপাতালে শনিবার পর্যন্ত ৯৩ রোগী ভর্তি আছেন। এখানে অক্সিজেনের কোনো সমস্যা নেই। প্রতিদিন সাধারণত আট লিটার অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। তবে শনিবার ১৬ লিটার অক্সিজেন লেগেছে। কয়েকজন রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় অক্সিজেনের ব্যবহার বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, এখানে যেসব ইমার্জেন্সি রোগী আসছেন, তাদের অধিকাংশের অক্সিজেন লাগছে। তাদের আইসিইউতে রাখা জরুরি। ইচ্ছা থাকলেও সেই সাপোর্ট দেয়া যাচ্ছে না।